সিরাজের রক্তে পা ডুবিয়ে যে ইংরেজ
হার্মাদের মত ঢুকে পড়েছিল আমাদের ঘরে
আজ বার বার তাদের কথাই মনে পড়ছে শুধু।
কী বেদনাবিধুর সে দিন!
কী বেদনাবিধুর সে রাত!
সমুদ্রের পর সমুদ্র পেরিয়ে কেমন করে
একদল ডাকাত এসে দখল করে নিতে পারে
দুর্ভেদ্য দুর্গ, রাজকোষ, সিংহাসন?
কেমন করে ছিনিয়ে নিতে পারে মানুষের
আজন্ম প্রেম, স্বাধীনতা, বারুদ ও বল্ল¬ম?
আজ তেইশে জুন।
বুকের ভেতর থেকে বুলেটের মত
বেরিয়ে আসছে ঘৃণা ও ক্ষোভের বারুদ।
বেরিয়ে আসছে কামানের গোলার মত অসহ্য ক্রোধ।
কি হত ভুমিকম্পে তলিয়ে গেলে বেঈমানের শহর!
কি হত গযবের আগুনে পুড়ে গেলে
লোভের লকলকে জিভ?
ধিক মিরজাফর! ধিক জগতশেঠ!
ধিক রায়দুর্লভ, উমিচাঁদ, ঘষেটি বেগম।
ধিক বিদেশী পা চাটা কুকুর, দেশদ্রোহী দালালের দল।
তেইশে জুন মানেই কুকুরের উত্থান।
তেইশে জুন মানেই
পোষা সাপের ছোবলে নীল মৃত্যু আলিঙ্গন।
তেইশে জুন মানেই
শহরে শহরে স্বাধীনতাখোর দালালের আবির্ভাব।
তারপর ইতিহাস।
দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী।
রক্ত আর ঘামের পুরাণ।
বঙ্গোপসাগর ভরা কান্নার কলরোল।
পাহাড়ে পাহাড়ে দীঘল দীর্ঘশ্বাস।
সবুজ ঘাসের মাঠ প্রস্ফুটিত কৃষ্ণচূড়া।
তারপর রক্ত, রক্ত, রক্ত.....
তারপর ঘুরে দাঁড়ানো।
তারপর নতুন ইতিহাস।
তারপর টিপু সুলতান।
তারপর তিতুমীর।
তারপর ফকির বিদ্রোহ।
তারপর সিপাহী বিপ¬ব।
তারপর হিমালয়, প্রমত্ত পদ্মা।
তরঙ্গের পর তরঙ্গ।
তারপর হাজী শরিয়ত উল¬াহ।
তারপর গান্ধী, প্যাটেল, কায়েদে আযম।
তারপর মাওলানা মোহাম্মদ আলী, শওকত আলী।
তারপর হাজী মহসিন, চিত্তরঞ্জন।
তারপর নজরুল, আব্বাসউদ্দিন
তারপর ভারত, পাকিস্তান।
তারপর স্বাধীনতা এবং
তারপর নেপথ্যে ইংরেজ।
হায় স্বাধীনতাখেকো তেইশে জুন।
রচনাকাল : ২০১১
হার্মাদের মত ঢুকে পড়েছিল আমাদের ঘরে
আজ বার বার তাদের কথাই মনে পড়ছে শুধু।
কী বেদনাবিধুর সে দিন!
কী বেদনাবিধুর সে রাত!
সমুদ্রের পর সমুদ্র পেরিয়ে কেমন করে
একদল ডাকাত এসে দখল করে নিতে পারে
দুর্ভেদ্য দুর্গ, রাজকোষ, সিংহাসন?
কেমন করে ছিনিয়ে নিতে পারে মানুষের
আজন্ম প্রেম, স্বাধীনতা, বারুদ ও বল্ল¬ম?
আজ তেইশে জুন।
বুকের ভেতর থেকে বুলেটের মত
বেরিয়ে আসছে ঘৃণা ও ক্ষোভের বারুদ।
বেরিয়ে আসছে কামানের গোলার মত অসহ্য ক্রোধ।
কি হত ভুমিকম্পে তলিয়ে গেলে বেঈমানের শহর!
কি হত গযবের আগুনে পুড়ে গেলে
লোভের লকলকে জিভ?
ধিক মিরজাফর! ধিক জগতশেঠ!
ধিক রায়দুর্লভ, উমিচাঁদ, ঘষেটি বেগম।
ধিক বিদেশী পা চাটা কুকুর, দেশদ্রোহী দালালের দল।
তেইশে জুন মানেই কুকুরের উত্থান।
তেইশে জুন মানেই
পোষা সাপের ছোবলে নীল মৃত্যু আলিঙ্গন।
তেইশে জুন মানেই
শহরে শহরে স্বাধীনতাখোর দালালের আবির্ভাব।
তারপর ইতিহাস।
দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী।
রক্ত আর ঘামের পুরাণ।
বঙ্গোপসাগর ভরা কান্নার কলরোল।
পাহাড়ে পাহাড়ে দীঘল দীর্ঘশ্বাস।
সবুজ ঘাসের মাঠ প্রস্ফুটিত কৃষ্ণচূড়া।
তারপর রক্ত, রক্ত, রক্ত.....
তারপর ঘুরে দাঁড়ানো।
তারপর নতুন ইতিহাস।
তারপর টিপু সুলতান।
তারপর তিতুমীর।
তারপর ফকির বিদ্রোহ।
তারপর সিপাহী বিপ¬ব।
তারপর হিমালয়, প্রমত্ত পদ্মা।
তরঙ্গের পর তরঙ্গ।
তারপর হাজী শরিয়ত উল¬াহ।
তারপর গান্ধী, প্যাটেল, কায়েদে আযম।
তারপর মাওলানা মোহাম্মদ আলী, শওকত আলী।
তারপর হাজী মহসিন, চিত্তরঞ্জন।
তারপর নজরুল, আব্বাসউদ্দিন
তারপর ভারত, পাকিস্তান।
তারপর স্বাধীনতা এবং
তারপর নেপথ্যে ইংরেজ।
হায় স্বাধীনতাখেকো তেইশে জুন।
রচনাকাল : ২০১১
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন